শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

আবদুলের অবগতির জন্য কিছু কথা



‘‘কাছে দূরে ঘুঘু চরে, ফাঁদে পড়ে নাঃ ফাঁদ পেতেছি, বাঁধ বেঁধেছি, ছাড়া পাবে না’’
-কাজী শাহেদ আহমেদ
গতকালের পর

অতএব আওয়ামী লীগের সুদিনে দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো। আবদুল গাফফার চৌধুরীরর মতো আওয়ামী লীগের সুদিনে ভুলভ্রান্তি লিখে কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগকে আনপপুলার করে জাসদ আর্মি সারাদেশের সবাইকে লেখা দিয়ে ক্ষেপিয়ে নেতা হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করবো না এবং হত্যা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগের ট্রাজেডির পর দলের পাশে গিয়ে আবার বন্ধু সাজবো না। যেমন আব্দুল করেছিল।ফলে আওয়ামীলীগাররা আবদুলের নামে গদগদ হয়ে থাকলো।বুঝলো না আবদুলের হাতসাফাই ও তার লেখা ’৭৫-এর পটভূমিকা নির্মাণে সহায়তা করেছিল কীনা? স্বাধীনতাপূর্ব ও উত্তর আবদুলের লেখাগুলো পাঠ করলে তাকে খন্দকারের মুরিদ মনে না হয়ে পারে না।
স্বাধীনতার পর দেশে মুজিবনগর প্রথ্যাগত উল্লেখযোগ্য প্রত্যেকেই কোন না কোন উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পেয়েছিল যেমন সম্পাদকের দায়িত্ব বা আমলা বা রেডিও টেলিভিশনের দায়িত্ব কিন্তু আবদুল পায়নি বা দেওয়া হয়নি এবং এই প্রসঙ্গে আবদুল লিখেছে যে, তার পূর্বদেশের সম্পাদক হবার কথা ছিল কিন্তু প্রয়াত্‌ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী তা দখল করে। প্রশ্ন হলো একাত্তরের রাজাকার পাকিস্তানের পলাতক হামিদুল হক চৌধুরীর পূর্বদেশ পত্রিকায় স্বাধীনতার পরেও হামিদুল হক চৌধুরীর চেলা আবদুলকে বয্গবন্ধু সরকার কিভাবে সম্পাদক নিযৃক্ত করবেন। সে জন্য এহতেশাম হায়দার চৌধুরী মুজিবনগর না গিয়েও পূর্বদেশের সম্পদক হতে পেরেছিল কিন্তু মুজিবনগর যাওয়া সত্ত্বেও আবদুলেকে বঙ্গবন্ধু সেই দায়িত্ব দেননি।  তাই সে দৈনিক জনপদ বের করে এবং তাতে ধারাবাহিকভাবে সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিরামহীনভাবে শুভানুধ্যায়ীর ছদ্মবেশে কলম চালায়। যে কলম আসলে ছিল ছুরি। জনপদে ও পূর্বদেশে তারলেখায় আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে সামনা সামনি কোলাকোলি কিন্তু পিছন থেকে ছুরি মারা হতো।
আবদুল লিখেছেন, ‘‘তিনি ইতিহাসের মহানয়কের সান্নিধ্য, স্নেহ ও ভালবাসা লাভ করেন।’’ বিনিময়ে আবদুল কি দিয়েছেন? বিনিময়ে ইতিহাসের মহানায়কের জীবদ্দশায় ব্যক্তি মুজিবের প্রশংসার ছলে তার সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরামহীন লেখনী পরিচালনা করেন।
আবদুল বঙ্গবন্ধু সরকারের গোড়া কেটে ‍দিয়ে মাথায় পানি ঢালছিলেন। ইতিহাসের মহানায়কের মৃত্যুর পর আবার একদিকে আবদুল প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লিখে আওয়ামীলীগের কাছে ভঅল হয়েছে এবং জিয়া ও এরশাদের দৃষ্টিতে পড়েছে। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সুদিন দেখা দেয়ায় আবদুল খালেদাকে ক্ষমতায় রেখে শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে যাবার জন্যে খোঁচাখোঁচি শুরু করেছে। দ্রষ্টব্য, গতকালের ভোরের কাগজে আবদুলের লেখা। আবদুল সাংঘাতিক লোক। খালেদাকে একসাথে ক্ষমতায় রাখছেন আবার খানিকটা সমালোচনা করে নিচ্ছেন। পরে যদি তাকে কেউ ধরে খালেদার দালাল বলে তখন একই লেখা থেকে দুলে ধরে আবদুল বলবে খালেদাকে আমি ছাড়ি নাই। সাংঘাতিক সমালোচনা করেছি। করিনি? ধুরন্ধর লেখক। তা বঙ্গবন্ধু তাকে এতো ভালবেসেছিলেনতার প্রতিদানে গত ২০ বছর তিনি তার আত্মজীবনূ নিয়ে বসে থাকলেন ও মূলা হিসেবে ব্যভহার করেছেন অথচ প্রকাশ করলেন না। কিসের ভয়? কেন করেননি। বিদেশে থেকেও ভয়। রহস্যটা কি? সেই মহানায়কের ব্যক্তিগত সেন্হ ও সাহায্য পেয়ে জীবনের গৌরব নিয়ে তার আত্মজীবনী প্রকাশে ক্ষান্ত থাকলেন? আবদুল কেমন বঙ্গবন্ধু ভক্ত?
আবদুল তৃতীয় দফায় ৩১-১২-৯৪ তারিখে আজকের কাগজকে গাঁজার নৌকায় বসিয়েছেন। ভোরের কাগজের মতিউর সেই নৌকা মহা আনন্দে ঠেলে দিয়েছে। আবদুল নৌকাটা কার তা বলেননি। নৌকাটার মালিক আবদুল না সাবের চৌধুরী? নিজেই সে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে আবার নিজেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলে, দেখান কবে আমি অমুক লেখা লিখেছি, ‘তমুক কথা বলেছি। আবদুল চায় word for word হতে হবে। আবদুল ঘুঘু দেখেছে, আবদুল ঘুঘূর ফাঁদ দেখেনি। তার ব্যবস্থা হবে। নতুন বাংলার অস্তিত্ব ঠিক সেই সময় ছিল না কথাটি ঠিক, তারমানে এই নয় যে, আবদুলের লেখার অস্তিত্ব নেই। তিনি কি এরশাদের পক্ষে বিলেতের কোন পত্রিকায় লেখেনি? আবদুল লিখেছে ‘‘ এরশাদের পতনের পর জেনারলে নূরউদ্দীনকে অন্তর্ভুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব কেন জানাবো, তা আমার বুদ্ধি বিবেচনায় এখনো আসছে না। কর্নেল (অবঃ) সম্পাদক এতো বড় ‘তথ্যটি’ আবিষ্কার করলেন কিভাবে? দয়া করে আমার এই লেখাটি কোন কাগজে, কবে প্রকাশিত হয়েছিলো; দয়া করে তার পাঠকদের জানাবেন কি?’’ তারপর আমাকে আর সুযোগ না দিয়েতিনি নিজেই লিখেছেন, ‘‘যতদূর মনে পড়ে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার জন্যে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে আমি নিজের নতুন দেশ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। লিখেছিলাম তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশে সামরিক বাহিনী এখনো একটি রাজনৈতিক শক্তি।’’ যে সময়ের কথা আবদুল বলছে সে সময় আর্মির প্রধান ছিলেন নূরউদ্দীন আর আবদুল সেই শক্তি অর্থাৎ আর্মিকে গণতন্ত্র রক্ষার ভূমিকায় ব্যভহার করতে চেয়েছেন। এখন পাঠকবৃন্দ বিবেচনা করুন যখন জেনারেল নূরউদ্দীন সেনাপ্রধান তখন সেনাবাহিনীকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ কি? তার অর্থ কি সেই সরকারে নুরুউদ্দীনকে ঢোকানো নয়? বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের তত্ত্বাবধায় সরকারে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্বের জন্য ওকালতির অর্থ কি প্রকারান্তরে সেনাবাহিনীর দালালি নয়? সৌভাগ্যক্রমে আর্মি আবদুলের দালালি উপেক্ষা করেছে।
আবদুল লিখেছেন, “সামরিক বাহিনী এখন একটি রাজনৈতিক শক্তি।” এরুপ ভুট্টো বলেছিলো বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতায় না যেতে দেবার জন্য ১৯৭১-এ। ভুট্টো নেই। আবদুল আছে। একই কথা বলার লোক আছে। আবদুল আরো লিখেছেন, “এই শক্তিকে (আর্মিকে) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষা করার ভুমিকায় প্রশংসা করেছিলাম এবং লিখেছিলাম সেনাবাহিনীর এই ভুমিকা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে সফল হতে সাহায্য করেছে। আবদুল মোসাহেবী গল্প ফেঁদে বসতে ওস্তাদ। গল্পের বাহার আছে। যদিও সারবস্তু কিছু থাকে না। আর্মিতে থেকেই এরশাদ ক্ষমতা নিলো আর বিএনপি সাত্তার ক্ষমতা দিলো তারপর রয় বছর এরশাদ আর্মির সহায়তায় ক্ষমতায় থাকলো। তারপর আন্দোলনের মাথায় একঝাঁক নতুন ফসলের তরুন আর্মি অফিসার বেঁকে বসলে নুরউদ্দীন শুধু কথাটাকে এরশাদকে জানালো এবং সেই সব কথার একটা বাজারী গল্প চায়ের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে আবদুলের কানে যায় এবং তার ভেতের নুরউদ্দীনের ও আর্মির মাহাত্ম্য খুঁজে বের করে আবদুল নুরউদ্দীনের ও আর্মির পিঠে চাপড়ালো। চাপড়াচ্ছে। এইত ঘটনা। আবদুল আরো লিখেচেন প্রশ্ন করে, “সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল নুরউদ্দীনকে তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গহণ করলে অন্যায়টা কি হতো?” এ প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো না, পাঠকরাই খুঁজে নিবেন ও আবদুলকে বুঝে নিবেন। আর্মির কাজ আমি করবে রাজনীতিবিদদের কাজ রাজনীতিবিদরা করবে আর সাংবাদিকরা সাংবাদিকতা করবে। এই সীমা লংঘিত হলেই নৈরাজ্য। যার জন্য ওকালতি করছে আবদুল। সেদিন যদি আবদুলের পরামর্শ মত নুরুউদ্দীনকে শাহাবুদ্দিনের সাথে রাখা হতো তাহলে এরশাদ বিচারপতি সাত্তার বিতাড়নের পুনারাবৃত্তি হতো তা কি কেউ বলতে পারে? আবদুল তারপর লেখে “জেনারেল নুরউদ্দীন তো এমনিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অঘোষিত উপদেষ্টা ছিলেন।” এ খবর আবদুল কোথায় পেলো? অবশ্য আবদুলের এক গাঁজার নৌকা আছে তাতে নিজেই চড়ে নদী পাহাড়া পর্বত বন জঙ্গল গুহা ও সাত সমুদ্র তের নদী সব পার হয়ে ঐ খবর সংগ্রহ করেছে। লিখেছেন নিজে আর চাপ দিচ্ছেন আজকের কাগজকে স্বীকার করতে যে, “ভবিষ্যতেও যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করতে হয় তাহলে সেই সরকারেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সমর্থন সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতির এই বাস্তবতা কি আজকের কাগজের সম্পাদক অস্বীকার করতে পারেন?” আশ্চর্য লোক। নিজে একটা থিসিস দিচ্ছে আর আমাকে চাপ দিচ্ছে তা স্বকিার করে নেবার জন্যে। আমি আজকের কাগজের সম্পাদক হিসেবে মনে করি যে এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হামিদুল হক চৌধুরীর পাকিস্তান নয় যে জেনারেল টিক্কার লেজ ধরে শ্রীলংকা হয়ে পাকিস্তানে হিজরত করবেন। আবদুল আমি আর্মি থেকে অব: তবে বোধযুক্ত সাংবাদিক আর আপনি আবদুল গাফফার চৌধুরী আর্মি থেকে অব: নন এবং আর্মি সম্বন্ধে অবোধ এবং ভারবাহী। আবদুল লিখেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি লন্ডনে বসে (ঢাকায় না) কলমযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। কার সঙ্গে? লিখে তিনি আওয়ামী লীগের প্রশংসা কুড়িয়েছেন সাথে আবার তা দেখিয়ে শাসিয়ে ফাঁসিয়ে যা যা পাওয়া যায় উল্টো ক্যাম্প অর্থ্যাৎ জিয়া এরশাদের ক্যাম্প থেকে হাতিয়েছেন এই আবদুল। আবদুল লিখেছে মতিউর রহমানের ভোরের কাগজের মাধ্যমে যে, “আজকের কাগজের মতো অন্যের বিরুদ্ধে একগাদা মিথ্যা এবং বানোয়াট প্রচার চালাইনি।” তাহলে ভোরের কাগজ, প্রকাশক সাবের চৌধুরী, সম্পাদক মতিউর রহমান এবং তার ঐ উক্তির মাধ্যমে বলতে চান আজকের কাগজ গোলাম আযম, মতিউর, সাকা, ইয়াহিয়া, ভুট্টো, সবুর, শাহ আজিজ, আলীম.... সম্বন্ধে যা যা লিখেছে সব মিথ্যা ও বানোয়াট। আজকেরদ কাগজ আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সপক্ষের লোকদের সম্বন্ধে যা যা লিখেছে, যে যে আন্দোলনে সহায়তা করেছে, যে যে নিবিড় কথা আবার জনগণের মুখে তুলে দিয়েছে যেমন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু..... সব মিথ্যা বানোয়াট?
একই লেখায় ড: কামালকে খুশি করেছেন, তুলো ধুনেছেন, ঝেড়েছেন আবার তার সম্বন্ধে ওকালতি করেছেন। লিখেছেন, “তিনি (ড: কামাল) আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে না গেলে তার নিজের এবং আওয়ামী লীগের ভাল হতো একথাও আমি বার বার বলেছি।” কেমন সাংবাদিক এই আবদুল। কেমন চিন্তা তার। উদ্দেশ্যে কি? আবদুল কি জানে যে, ড: কামাল আওয়ামী লীগের কি সর্বনাশ করছিলেন? আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগকে ড: কামাল বাঁচিয়েছেন, নিজেও বেঁবেছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে আবদুল আওয়ামী লীগের পুরাতন ফকির হয়েও অনেক কিচু জানেন না এবং জানলেও না জানার ভান করে ওকালতি করেন। দেখা যাচ্ছে, নতুন জ্ঞানী বন্ধু পুরাতন পাপী বন্ধু থেকে অনেক শ্রেয়। আবদুল জাহানারা ইমাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি, সমন্বয় কমিটি, আন্দোলন, শেখ হাসিনা,
টীকা: একই লেখায় ড: কামালকে খুশি করেছেন, তুলো ধুনেছেন, ঝেড়েছেন আবার তার সম্বন্ধে ওকালতি করেছেন। লিখেছেন, “তিনি (ড: কামাল) আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে না গেলে তার নিজের এবং আওয়ামী লীগের ভাল হতো একথাও আমি বার বার বলেছি।” কেমন সাংবাদিক এই আবদুল। কেমন চিন্তা তার। উদ্দেশ্যে কি? আবদুল কি জানে যে, ড: কামাল আওয়ামী লীগের কি সর্বনাশ করছিলেন? আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগকে ড: কামাল বাঁচিয়েছেন, নিজেও বেঁবেছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে আবদুল আওয়ামী লীগের পুরাতন ফকির হয়েও অনেক কিচু জানেন না এবং জানলেও না জানার ভান করে ওকালতি করেন। দেখা যাচ্ছে, নতুন জ্ঞানী বন্ধু পুরাতন পাপী বন্ধু থেকে অনেক শ্রেয়। আবদুল জাহানারা ইমাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি, সমন্বয় কমিটি, আন্দোলন, শেখ হাসিনা, আজকের কাগজ, কাজী শাহেদ আহমেদ এসবের কোনো কিছুই জানে না। অজ্ঞ লোক। তাই ড: কামাল দিয়ে জাহানারা ইমামের শূন্য স্থান পুরন করতে চেয়েছেন। তার এই ডাক অজ্ঞ ও উদ্দেশ্যপরায়ণ ডাক। গাঁজার নৌকায় বসে হাজার হাজার মাইল দুর থেকে লিখলে এমনি হয়।

আজকের কাগজ, কাজী শাহেদ আহমেদ এসবের কোনো কিছুই জানে না। অজ্ঞ লোক। তাই ড: কামাল দিয়ে জাহানারা ইমামের শূন্য স্থান পূরণ করতে চেয়েছেন। তাই এই ডাক অজ্ঞ এবং উদ্দেশ্যপরায়ণ ডাক। গাঁজার নৌকায় বসে হাজার হাজার মাইল দুর থেকে লিখল এমনি হয়। রাজনীতি চলমান স্বীকার করি কিন্তু আবদুলের সে রাজনীতির রাজ বাস দিয়ে নীতি চলমান এটা এখন সবাই জানে। আজকের কাগজের সম্পাদক সারাজীবন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে নীতির ব্যাপারে “বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর সংবিধান”- এর ব্যাপারে লেফট রাইট করবে। আর আজকের কাগজের সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ জানে যে, আবদুল লেফট রাইট করার লোক নন। আবদুল যখন যা করলে লেফট ও রাইট পকেটে দু’চার পাউন্ড পড়ে তাই করেন। আবদুল কখনো লেট টার্ন অথবা কখনো রাইট টার্ন করবে। আবদুল তার গাঁজার নৌকার পাশ হাওয়া বুঝে তুলেন। লেফট রাইট করে কিছু হারাতে চান না। তিনি উর্দি কোনোদিন পরেননি তবে উর্দিওয়ালাদের চাটুকারিতায় ওস্তাদ ছিলেন, আছেন ও থাকবেন তা তার লেখায় সগর্বে সশব্দে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। আবদুল লিখেছেন, “সশস্ত্র মস্তান ভাড়া করে এনে পত্রিকার ব্যক্তি মালিকান রক্ষা করিনি।” আবদুলের নতুন মালিক ভোরের কাগজের সম্পাদক মতিউর রহমান যখন অজ্ঞাত জায়গা (আমি জানি জায়গা কোনটি) থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে অফিস নিয়ে পুরো পত্রিকা বের করার যন্ত্রপাতি কিনে বসে কোন সংস্থার ইঙ্গিতে আজকের কাগজ বন্ধ করে ভোরের কাগজ বের করার জন্যে পুরো প্রস্তুত তখন আবদুল কোথায় ছিলেন? সেই সম্পর্কে আবদুল নীরব কেন? তাই আমি কাজী শাহেদ আজমেদ একাই পত্রিকার ব্যক্তিমালিকানা রক্ষা করি। সশস্ত্র হওয়া লাগেনি, মাস্তান লাগেনি, ভাড়া করা লাগেনি। ওসব আবদুলদের লাগে। আবার দরকার হলে ব্যক্তিমালিকানা পত্রিকার বা মালিকানা সে দেশের হোক, পতাকার হোক, জাতীয় সঙ্গীতের হোক, চেতনার হোক আমি রক্ষার জন্য যুদ্ধ করবো। আবার বলছি ``An old soldier never dies.”
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন